রূপা: একটি বহুমুখী পরিচয়
এই নিবন্ধে আমরা ‘রূপা’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করবো। ‘রূপা’ শব্দটি একাধিক অর্থ বহন করে, যার ফলে এর ব্যাখ্যা প্রদানের পূর্বে স্পষ্টতা অপরিহার্য। উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ‘রূপা’ একটি রাসায়নিক মৌল, একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাসের নাম এবং একটি নারী নাম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
রূপা (রাসায়নিক মৌল):
রূপা (ইংরেজিতে Silver, রাসায়নিক চিহ্ন Ag) একটি মূল্যবান ধাতু যার পারমাণবিক সংখ্যা ৪৭। এর উৎপত্তি এশিরীয় শব্দ “serpu” কিংবা গথ ভাষার “silbur” থেকে। ল্যাটিন শব্দ Argentum, সম্ভবত সংস্কৃত “আর্জেন্টা” (আলোর মত সাদা) থেকে এসেছে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ রুপার অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল এবং সোনার চেয়েও এর মূল্য বেশি ছিল। গ্রিসের সেনাপতি আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় সৈন্যদের এক অদ্ভুত রোগের কারণ রুপার জীবাণুনাশক ক্ষমতা থেকে উদ্ভব হয়েছিল বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। স্পেন, গ্রীস, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোতে রূপার প্রচুর খনি আছে। প্রাচীনকালে সীসার আকরিক থেকে রূপা নিষ্কাশন করা হতো। টাকা তৈরিতে সোনার সাথে রূপা ব্যবহৃত হতো। ১৮৭৪ সালে সোনা ও রূপার দামের অনুপাত ছিল ১:১৫.৫, যা অস্ট্রেলিয়ায় রূপার আবিষ্কারের পর ১:৪৬ এ দাঁড়ায়। রাশিয়ার রুবল ও কোপেইকার নামকরণের ইতিহাসের সঙ্গে রূপা জড়িত। ১ আগস্ট ২০১২ সালে, প্রতি ট্রয় আউন্স রূপার দাম ছিল $২৭.৫০।
রূপা (উপন্যাস):
রূপা হুমায়ূন আহমেদের লেখা একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস। এই উপন্যাসে রূপা নামের একজন মেয়ের জীবন, তার পরিবার ও আশেপাশের মানুষদের সাথে তার সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসে হারুনুর রশিদ (রূপার বাবা), শায়লা খানম (রূপার মা), সুলতান চাচা, মলিনা (কাজের মেয়ে) ও মদিনা (এক রহস্যময়ী মেয়ে) সহ অন্যান্য চরিত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই উপন্যাসের গল্পে রহস্য, প্রেম এবং জীবনের নানান রঙের মিশ্রণ থাকে। উপন্যাসটি ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়।
রূপা (নাম):
রূপা একটি জনপ্রিয় নারী নাম। এই নামের সঙ্গে জড়িত কোন নির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপিত পাঠ্যে নেই।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা:
যদি ‘রূপা’ সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদেরকে জানান। আমরা আপনাকে সর্বোত্তম তথ্য দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।