মাঠসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলতে সাধারণত এমন ব্যক্তি, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝায় যারা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা, আন্দোলন বা পরিস্থিতির সাথে সরাসরি জড়িত। প্রদত্ত লেখা থেকে বোঝা যায়, ‘মাঠসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’র সংজ্ঞা প্রসঙ্গভেদে পরিবর্তিত হয়। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের বিবরণ নীচে প্রদত্ত হলো:
- *সারজিস আলম:** জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক। তিনি ১৮, ১৯, ২০ জুলাই এবং ৩, ৪, ৫ আগস্টের ঘটনাবলীতে মাঠে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম এবং সেই ঘটনার স্মৃতি জাগ্রত রাখার জন্য কাজ করছেন। তিনি ৫ জুন থেকে ৫ আগস্টের ঘটনা ও সেই সময় জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বক্তব্য দিয়েছেন।
- *সাদিক কাইয়ুম:** বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি। শহিদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
- *নূরুল ইসলাম বুলবুল:** চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফোরামের সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির। তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা’ উল্লেখ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
- *চিন্ময় কৃষ্ণ দাস:** সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাবেশ আয়োজন করে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন এবং এই ঘটনায় তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বক্তব্য এবং গ্রেফতারের ঘটনার কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়েছে।
এছাড়াও লেখায় উল্লেখ থাকা অন্যান্য মাঠসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ইউনেসকোর প্রতিনিধি, এটুআই-এর অ্যাকসেসিবিলিটি বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের হেড অব ডিজিটাল জাহিদ নেওয়াজ খান, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর সালমা ইয়াসমিন, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জামাল রেজা ও আইএলওর কর্মসূচী কর্মকর্তা ফারজানা রেজা। তবে এদের মাঠসংশ্লিষ্টতার প্রকৃতি লেখায় স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত হয়নি। তাদের পেশা এবং সংগঠনের সাথে তাদের জড়িততা উল্লেখ করা হয়েছে।
লেখায় উল্লেখিত মাঠসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকাংশেরই বয়স, জাতিগত পরিচয় বা সম্প্রদায়ের বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হয়নি।