নির্বাচন পর্যবেক্ষণ

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা গণতন্ত্রের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকে। এই প্রতিবেদনটি বিভিন্ন নির্বাচনে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা, তাদের কার্যকলাপ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করবে।

১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল এসেছিল। তবে, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি, পরবর্তীতে উক্ত নির্বাচনগুলির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের ২৫,৯০০ জন প্রতিনিধি, ৩৮ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক (ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে আমন্ত্রিত), বিভিন্ন বিদেশি মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং দূতাবাস ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত ৬১ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। বিভিন্ন বছরের পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, যা নির্বাচনের প্রকৃতি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের আগ্রহের উপর নির্ভর করে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় আড়াইশ বিদেশি এবং ২০ থেকে ২২ হাজার দেশি পর্যবেক্ষকের আবেদন জমা পড়েছে। বিদেশিদের আবেদন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের শেষ সময় ছিল ১০ ডিসেম্বর। ৬৭টি পর্যবেক্ষক সংস্থা প্রথম ধাপে এবং ২৯টি দ্বিতীয় ধাপে নিবন্ধন পেয়েছে। বিদেশ থেকে আসা প্রায় ১৬০ জন পর্যবেক্ষক এবং ৯০ জন সাংবাদিক ছিলেন। থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ইরাক, ফিলিস্তিন, জর্জিয়া, উগান্ডা, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, কঙ্গো থেকে আবেদন পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশন দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি নিয়মনীতিও আরোপ করেছে। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠায়নি, পরবর্তীতে এ দুটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল তারা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নিয়মাবলীতে পর্যবেক্ষকদের ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের স্থানে প্রবেশ করার অনুমতি নেই।

কিছু সংস্থা তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে এবং প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি। এছাড়া, কিছু সংস্থার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অনেক নতুন সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে কিছু সংস্থার কার্যকরী ক্ষমতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শুরু।
  • ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।
  • ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ২৬,০০০ দেশীয় ও ৩৮ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন।
  • দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০-২২ হাজার দেশীয় ও প্রায় ২৫০ বিদেশি পর্যবেক্ষক আবেদন করেছেন।
  • অনেক দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার কাজের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নির্বাচন পর্যবেক্ষণ

৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

ব্রিটিশ এমপি ড. রুপা হক বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।