মঈনুল হক চৌধুরী নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন।
মঈনুল হক চৌধুরী (রাজনীতিবিদ):
এই মঈনুল হক চৌধুরী (১৯২১-১৯৭৬) ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি অবিভক্ত কাছাড় অঞ্চলের সোনাবাড়ীঘাটে ১৯২১ সালের ১৩ই মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাঁচবার অসম বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে ভারত সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। তার পিতা ছিলেন মন্তাজির আলী চৌধুরী এবং মাতা ছিলেন মোনা বিবি। তিনি সোনাবাড়ীঘাটের মধ্য ইংরাজি স্কুল, শিলচর সরকারি বালক উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুল, গুয়াহাটির কটন কলেজ এবং সিলেটের মুরারীচাঁদ কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সাম্মানিক ইতিহাসে স্নাতক এবং ১৯৪৬ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন। মুসলিম লীগের যুব মোর্চার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। অবিভক্ত কাছাড়ের কৃষিশিল্প উন্নয়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, All India Radio স্থাপন, শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ভেটেরিনারি স্কুল, পাঁচ গ্রামের হিন্দুস্থান পেপার মিল, আনিপুরের সুগার মিল এবং শিলচরের রিজিওনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান NIT) প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বরাক ড্যামের প্রস্তাবও তিনি দিয়েছিলেন।
মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী (বিচারপতি):
এই মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি ১৯৫৩ সালের ৯ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেকটি আইন ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০শে জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারে অংশগ্রহণ করেছেন। আরো তথ্য পাওয়া গেলে, লেখাটি আপডেট করা হবে।