জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:২৭ এএম

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া: একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন

বাংলাদেশে ২০২৩ সালে আবির্ভূত একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন হল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সরকার কর্তৃক ৯ আগস্ট ২০২৩ এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সংগঠনের উত্থান, কার্যকলাপ এবং গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সীমিত। তবে, উপলব্ধ তথ্য থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে।

উত্থান ও কার্যক্রম: র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন যেমন জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজির কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম শুরু করে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে কুমিল্লা ও ঢাকার কয়েকজন তরুণের ঘর ছেড়ে যাওয়ার পর এই সংগঠনের অস্তিত্ব স্পষ্ট হয়। পরবর্তীতে র‌্যাবের অভিযানে এ সংগঠনের অনেক সদস্য গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই সংগঠন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনপ্রণেতা এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল। এই সংগঠনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত ছিল।

সংগঠনের নেতৃত্ব ও সদস্য: জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নেতৃত্ব এবং সদস্যদের সম্পূর্ণ তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে, আমির আনিসুর রহমান, দাওয়াতি শাখার প্রধান শাকির বিন ওয়ালী (একজন চিকিৎসক), এবং শামিন মাহফুজ সহ আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

পাহাড়ি সংগঠনের যোগাযোগ: জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল বলে জানা গেছে। কেএনএফ এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

নিষিদ্ধকরণ: দেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধকরণ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আরও তথ্য: জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা এই লেখা আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৩ সালে আবির্ভূত নতুন জঙ্গি সংগঠন
  • ৯ আগস্ট ২০২৩ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ
  • জেএমবি, আনসার আল ইসলাম, হুজির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ
  • কেএনএফ এর সাথে যোগাযোগের অভিযোগ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।