হুজি

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:২২ পিএম

হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামি (হুজি) বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ ইসলামি সংগঠন, যা ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের মতো কিছু এশীয় দেশে সক্রিয় ছিল। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। হুজি-বি দেওবন্দ মতাদর্শ ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রেও একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

১৯৮৯ সালে যশোরের মনিরামপুরের মাওলানা আবদুর রহমান ফারুকী আফগানিস্তানের সোভিয়েত-বিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী মুজাহিদীনদের নিয়ে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু সেই বছরই আফগানিস্তানের খোস্তে মাইন অপসারণের সময় তিনি নিহত হন। পরে ৩০ এপ্রিল ১৯৯২ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে হুজি বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। মাওলানা আবদুস সালাম এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মুফতি আবদুল হান্নান হুজি বাংলাদেশের শেষ নেতা ছিলেন। তাকে ১২ই এপ্রিল ২০১৭ সালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফাঁসি দেওয়া হয়।

হুজি-বি দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে সদস্য নিয়োগ করে দ্রুত তৎপরতা বৃদ্ধি করে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশী সাহিত্যিক শামসুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করে এই সংগঠন। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে এবং ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালায়। এই হামলায় আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়। হুজি রোহিঙ্গা বিদ্রোহকে সমর্থন করার জন্যও পরিচিত। এটি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা (এআরএনও) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। হুজি-বির বিরুদ্ধে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়। সম্প্রতি পুলিশ হুজির ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এই সংগঠনটি এখনও সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছে এবং আনসার আল ইসলামের সাথে মিলিত হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • হুজি হলো বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ ইসলামি সংগঠন
  • এটি ২০০৫ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
  • হুজি বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত
  • শামসুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা এবং শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হুজির উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপ
  • হুজি রোহিঙ্গা বিদ্রোহকে সমর্থন করে
  • মুফতি আবদুল হান্নান ছিলেন হুজির শেষ নেতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।