এম. এম. সাইফুল ইসলাম

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৩৩ এএম
নামান্তরে:
এম এম সাইফুল ইসলাম
এম. এম. সাইফুল ইসলাম

এম. এম. সাইফুল ইসলাম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে বোঝা যায়, কমপক্ষে তিনজন ব্যক্তি এ নাম ব্যবহার করেন। তাদের তথ্য নিম্নে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হল:

১. শাইখ মুফতি সাইফুল ইসলাম: এম. এম. সাইফুল ইসলাম নামে পরিচিত এই ব্যক্তি একজন ইসলামী পণ্ডিত এবং যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের জামিয়ায় খাতামুন নবীয়েন (জে কেএন) এর প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যক্ষ ও পরিচালক। তিনি ১৯৭৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সিলেট, বিশ্বনাথ জেলার দুহাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আলী এবং দাদার নাম সোয়েদ আলী। ১৯৮১ সালের ১ মার্চ তিনি তার পরিবারের সাথে যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং ব্র্যাডফোর্ডে বসতি স্থাপন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ব্র্যাডফোর্ডের তাওয়াক্কুলিয়া জামে মসজিদে হিফজুল-কুরআন সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে দারুল উলূম ব্যারিতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৯৫ সালে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) এবং ১৯৯৬ সালে ইফতা কোর্স সম্পন্ন করে মুফতি উপাধি লাভ করেন। তিনি ব্র্যাডফোর্ডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত ও লেকচারার এবং 'আল মু'মিন' নামে একটি পারিবারিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক। জামেয় খাতামুন নবীয়েন ছাড়াও তিনি তাওয়াক্কুলিয়া জামে মসজিদের সভাপতি, আল কাওথার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, ইউকে শাখায় জমিয়তুল উলামা বাংলাদেশের সচিব ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন।

২. প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম: এম. এম. সাইফুল ইসলাম নামের এই ব্যক্তি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বুয়েটের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি বুয়েটের ত্রয়োদশ উপাচার্য ছিলেন (২০১৬-২০২০)। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর তার নীরবতার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

৩. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম: এম. এম. সাইফুল ইসলাম নামে পরিচিত এই ব্যক্তি একজন রাজনীতিবিদ এবং ঢাকা-১৯ আসন থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এম. এম. সাইফুল ইসলাম ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লাশ পোড়ানোর মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

৪. অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ: চট্টগ্রামে ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন করেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হন।

৫. ডা. সাইফুল ইসলাম: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর পুনর্গঠিত কাউন্সিলের নতুন সভাপতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি সাবেক অধ্যাপক।

৬. এম.এম. সাইফুল ইসলাম (শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক): শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১৯৭৩ সালে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এই তথ্যগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এম. এম. সাইফুল ইসলাম নামের ব্যক্তিদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উৎস নির্দেশ করে স্পষ্ট করা উচিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • শাইখ মুফতি সাইফুল ইসলাম: যুক্তরাজ্যের ইসলামী পণ্ডিত ও জে কেএন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা
  • প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম: বুয়েটের সাবেক উপাচার্য
  • মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম: ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি
  • অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ: চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী
  • ডা. সাইফুল ইসলাম: বিএমডিসি'র নতুন সভাপতি
  • এম.এম. সাইফুল ইসলাম: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - এম এম সাইফুল ইসলাম

এম. এম. সাইফুল ইসলাম শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।