উঠান বৈঠক: একটি বহুমুখী ধারণা
'উঠান বৈঠক' শব্দটির ব্যবহার বেশ কিছু প্রেক্ষাপটে দেখা যায়। এটি কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এই নিবন্ধে আমরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উঠান বৈঠকের বর্ণনা দিয়েছি:
১. রাজনৈতিক প্রচারণা: নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন। এতে তারা ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং নিজেদের নীতি ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। উপরোক্ত লেখা থেকে বোঝা যায়, ২০২৫ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা উঠান বৈঠক করেছেন। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সানজিদা খানম করিম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইফুদ্দিন মিলন, শেখ মোস্তফিজুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও, বাগেরহাট, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোর, দিনাজপুর, ঝালকাঠি, গাজীপুর এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা উঠান বৈঠক করেছেন।
২. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক উদ্দেশ্যেও উঠান বৈঠকের ব্যবহার হয়। উদাহরণস্বরূপ, গ্রামীণফোনের ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ প্রচারাভিযানের আওতায় দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকগুলোতে গ্রামীণ নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার, স্বাস্থ্য সচেতনতা, আইনি সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা, ধামরাই ও অন্যান্য স্থানে এরকম উঠান বৈঠকের উদাহরণ দেখা যায়। এতে গ্রামীণফোন, প্রথম আলো, নকিয়া এবং ঢাকা ব্যাংক সহযোগিতা করে। আবার ‘তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের আওতায়ও উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।
৩. রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী: আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী উঠান বৈঠকের কর্মসূচীও একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ‘দেশের উন্নয়ন- মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, শেখ হাসিনার অবদান’ বিষয়ক উঠান বৈঠকের আয়োজন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
৪. বিএনপি'র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মসূচী: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসমর্থন আদায়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমরা যতটা তথ্য পেয়েছি তা দিয়েই এই নিবন্ধটি তৈরি করা হয়েছে। আরো তথ্য পাওয়ার পর এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।