আলফাজ উদ্দীন নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংস্থা বা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, আলফাজ উদ্দীনের দুটি ভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রথম আলফাজ উদ্দীন:
একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৩২ সালে চাঁদপুরের কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের শিলাস্থান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫ জুলাই ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে মারা যান। তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষকতা করেন এবং চাঁদপুর মহকুমা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তার পিতার নাম পেয়ার আলী এবং মাতার নাম আমেনা খাতুন। তার দুই ছেলে এবং পাঁচ মেয়ে ছিল।
দ্বিতীয় আলফাজ উদ্দীন:
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। এই আলফাজ উদ্দীন সোহাগদল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদকে বদ্ধভূমিতে বেঁধে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মহিউদ্দীন মহারাজের সমালোচনা করেছেন।
তৃতীয় আলফাজ উদ্দীন:
সাতক্ষীরা জেলার একজন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার এবং সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
চতুর্থ আলফাজ উদ্দীন:
পূর্ব মালসাদহ গ্রামের একজন কৃষক যিনি একটি নতুন বেগুনের জাত উদ্ভাবন করেছেন যা ‘আলফাজ বেগুন’ নামে পরিচিত। তার উদ্ভাবিত বেগুনের আকার বড় এবং ফলন ভালো। গাংনীর স্বদেশ সীড এই বীজ উৎপাদন শুরু করেছে।
পঞ্চম আলফাজ উদ্দীন:
চুয়াডাঙ্গার আলফাজ উদ্দীন জোয়ার্দ্দার। তিনি ৫ ছেলে ও ৫ মেয়েকে লালন-পালন করেন। ৫ ছেলেই ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড়। তাদের নাম আব্দুল কাদের জোয়ার্দ্দার, এ নাসির জোয়ার্দ্দার, মোতাহের আলী জোয়ার্দ্দার, মামুন জোয়ার্দ্দার ও হাফিজুর রহমান (লিটন)। তার ছেলেদের নামে চুয়াডাঙ্গায় ‘আলফাজ উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ আয়োজন করা হয়। তিনি ২০০৬ সালে মারা যান।
যেহেতু আলফাজ উদ্দীন নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত, তাই আরও তথ্য প্রয়োজন হলে দয়া করে আমাদের জানিয়ে দিন।