ফুটবল: বিশ্বের জনপ্রিয়তম খেলা
ফুটবল, যা সকার নামেও পরিচিত, ১১ জন খেলোয়াড়ের দুটি দলের মধ্যে একটি আয়তক্ষেত্রাকার মাঠে খেলা হয়। খেলার উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষের গোলে বল প্রবেশ করিয়ে বেশি গোল করা। ঐতিহ্যগতভাবে ৪৫ মিনিট করে দুটি অর্ধে বিভক্ত, মোট ৯০ মিনিটের এই খেলা বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই জনপ্রিয়। আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন খেলোয়াড় বিশ্বের ২০০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই খেলায় অংশগ্রহণ করে।
খেলার নিয়ম:
ফিফার (Fédération Internationale de Football Association) নিয়ম অনুযায়ী, ফুটবল খেলা ১৭টি আইনে নিয়ন্ত্রিত। এই আইনগুলো বলের আকার, মাঠের মাপ, খেলোয়াড় সংখ্যা, অফসাইড, ফাউল, ফ্রি কিক, পেনাল্টি কিক, থ্রো-ইন, কর্নার কিক, গোল কিক ইত্যাদি বিষয় নির্দেশ করে। রেফারি খেলা পরিচালনা করেন এবং খেলার আইন পালনের তদারকি করেন।
ঐতিহাসিক দিক:
ফুটবলের উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। চীন, গ্রিস, রোম, ইংল্যান্ড-সহ বিভিন্ন স্থানকে এর জন্মভূমি বলে দাবি করা হয়। তবে আধুনিক ফুটবলের বিকাশ ইংল্যান্ডে ঘটে। ১৮৪৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ফুটবলের আইন প্রণয়ন করে, যা পরবর্তীতে পরিমার্জিত হয়। ১৯০৪ সালের ২১শে মে প্যারিসে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩০ সালে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব:
বিশ্ব ফুটবলে অনেক কিংবদন্তী খেলোয়াড় রয়েছেন। পেলে, ম্যারাডোনা, ক্রুইফ, পুস্কাশ, বেকেনবাওয়ার, প্লাতিনি, ইউসেবিও, ম্যাথুজ-এর নাম উল্লেখযোগ্য। মহিলা ফুটবলে বেভারলি রেঞ্জার, মিয়া হ্যাম প্রভৃতি খেলোয়াড়ের অবদান উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে ফুটবল:
বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা অপরিসীম। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১৯৭২ সালে ঢাকায় প্রথম ফুটবল লীগ শুরু হয়। মোহামেডান, আবাহনী, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-এর মত ক্লাবগুলো জনপ্রিয়। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সফলতা রয়েছে।
রেফারিং:
ফুটবল খেলায় রেফারি এবং সহকারী রেফারির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা খেলার নিয়ম কার্যকর করেন এবং খেলা পরিচালনা করেন। আধুনিক ফুটবলে গোল-লাইন রেফারিও ব্যবহার করা হয়।