আর্থিক

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৫৬ পিএম

বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থা: একটি বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আর্থিক খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। ১৯৭২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে একটি মার্কিন ডলারও ছিল না এবং মোট অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে এসে দেশে মোট ব্যাংকের সংখ্যা ৬২টিতে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৩৩টি বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ১০টি ইসলামী ব্যাংক। আইএমএফের সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি ৪৬০.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাংকের সংখ্যা সর্বাধিক ৩০টিতে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।

আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ: ১৯৭৫ সালের কার্যবিধি (১৯৯৬ সালে পরিমার্জিত) অনুসারে, সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক। রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ দুই ধরনের। ১৯৮৩ সালের ১৫ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি অফিস স্মারকে রাজস্ব বাজেটের ২৭টি বিষয়ে অর্থবিভাগের মতামত গ্রহণের বিষয়টি সীমিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে উন্নয়ন বাজেটের ৩৩টি বিষয়ে আংশিক বা পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়। ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট, উভয় ধরনের বাজেটের ব্যয়ের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়, যেখানে রাজস্ব ব্যয়ের আর্থিক সীমা বৃদ্ধি এবং অর্থবিভাগের পর্যালোচনার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র সংখ্যা কমানো হয়।

আর্থিক খাতের চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের আর্থিক খাতের উন্নয়নে শৃঙ্খলা, সুশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অপরিহার্য। ডিজিটাল পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গ্রীন ফাইন্যান্সিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন প্রভৃতির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

পলিথিন নিষেধাজ্ঞা: ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজ, সুতি, পাট, বাঁশ-বেত, বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক এবং নারকেলের খোসা-ধানের ছোবড়া থেকে তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা: প্রাথমিক শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য সমস্যা রয়েছে। প্রায় ৬৫% শিক্ষার্থী রিডিং করতে পারে না, শিক্ষকদের বেতন কম এবং নিয়োগ পদ্ধতিতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কার, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি: অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্যক্তি, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

ধারাবাহিকতা: আর্থিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, ক্ষমতা অর্পণের ইতিহাস, পলিথিন নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জের বর্ণনা দেওয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকতার ধারণা তুলে ধরা হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল অত্যন্ত দুর্বল
  • ২০২৪ সালে দেশে মোট ৬২টি ব্যাংক রয়েছে
  • আইএমএফ অনুসারে, বাংলাদেশের জিডিপি ৪৬০.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি
  • অর্থনীতিবিদদের মতে, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাংকের সংখ্যা ৩০টিতে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত
  • ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়
  • প্রাথমিক শিক্ষায় ৬৫% শিক্ষার্থী রিডিং করতে পারে না
  • প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কম এবং নিয়োগ পদ্ধতিতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।