আবু হেনা মোরশেদ জামান: একজন সাফল্যের কাহিনী
আবু হেনা মোরশেদ জামান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা। তিনি তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর, তিনি ১১তম বিসিএস (প্রশাসন) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর ও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন), বাংলাদেশ জাতীয় কমিশন ফর ইউনেস্কোর উপ-মহাসচিব এবং কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন।
তার কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য দিক হলো দেশের উন্নয়ন প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান, যার মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তদারকি। তিনি অবৈধ পলিথিন কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবু হেনা মোরশেদ জামান টেলিটকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানও। ২০২৩ সালের আগস্টে, তিনি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের অধীনে শেখ কামালের বিশেষ সংস্করণের স্ট্যাম্প চালু করার তত্ত্বাবধান করেন। তার কর্মজীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়, যাতে তিনি প্রশাসন, উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষা - বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যক্তিগত জীবন:
তিনি চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা জীবন ছিলো উজ্জ্বল। তিনি এসএসসি ও এইচএসসিতে মেধা তালিকায় যথাক্রমে ৫ম এবং ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সেরা বিতার্কিক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ইউনেস্কো ও আইসেস্কো সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার জন্য আজারবাইজান, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছেন। পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী একজন চিকিৎসক।
আবু হেনা মোরশেদ জামান একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যিনি দেশের জন্য অবদান রাখার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনেও সাফল্য অর্জন করেছেন। তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তাকে একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে।