আবদুর রহমান খান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৩ এএম
নামান্তরে:
Abdur Rahman Khan
আবদুর রহমান খান

আবদুর রহমান খান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে, আমরা দুজন আবদুর রহমান খান সম্পর্কে আলাদাভাবে আলোচনা করব।

প্রথম আবদুর রহমান খান:

এই আবদুর রহমান খান (পশতু: عبد الرحمن خان) (১৮৩০ থেকে ১৮৪৪ – ১ অক্টোবর ১৯০১) ছিলেন ১৮৮০ থেকে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আফগানিস্তানের আমির। তিনি মুহাম্মদ আফজাল খানের প্রথম পুত্র ও একমাত্র পুত্র এবং দোস্ত মুহাম্মদ খানের নাতি। তিনি একজন শক্তিশালী শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর আফগান সরকারকে পুনর্গঠিত করেছিলেন। তার আত্মীয়দের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন গোত্রের বিদ্রোহ তিনি দমন করেছিলেন। এজন্য তাকে "লৌহ আমির" বলা হত।

তার রাজত্বকালে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল, যেমন- দোস্ত মুহাম্মদ খানের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার নিয়ে ভাইদের মধ্যে ক্ষমতা সংগ্রাম, আবদুর রহমান খানের রাশিয়ায় আশ্রয় গ্রহণ, ব্রিটিশদের সাথে আলোচনা ও আফগানিস্তানের আমির হিসেবে স্বীকৃতি, আইয়ুব খানের বিদ্রোহ দমন এবং ডুরান্ড লাইনের স্থাপন। তিনি ১৯০১ সালের ১ অক্টোবর মারা যান এবং তার পুত্র হাবিবউল্লাহ খান তার উত্তরাধিকারী হন।

দ্বিতীয় আবদুর রহমান খান:

এই আবদুর রহমান খান (১৮৭৮-১৯৩৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ। তিনি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং নাটোর মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেছিলেন। রাজশাহী কলেজ থেকে এফএ ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন এবং পরে প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগেও কর্মরত ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মুগবেলাই লুৎফিয়া হাইস্কুল প্রতিষ্ঠাসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।

দুই আবদুর রহমান খানের জীবনী ও কর্মকাণ্ড আলাদা আলাদা। এ তথ্য যথেষ্ট না হলে, আমরা আরও তথ্য সংযোজন করে আপনাকে পরে অবহিত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আফগানিস্তানের আমির ছিলেন আবদুর রহমান খান (১৮৮০-১৯০১)
  • তিনি "লৌহ আমির" নামে পরিচিত ছিলেন
  • তিনি দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর আফগান সরকার পুনর্গঠন করেন
  • ডুরান্ড লাইন স্থাপনের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে
  • আবদুর রহমান খান (১৮৭৮-১৯৩৯) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ছিলেন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।