আফগানিস্তান

আফগানিস্তান: একটি বিস্তারিত লেখা

আফগানিস্তান (পশতু ও দারি: افغانستان), সরকারি নাম আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত, পাহাড়ি ভূ-বেষ্টিত একটি দেশ। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত এবং ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তে। আফগানিস্তানের ইতিহাস রীতিমতো সমৃদ্ধ। প্রাচীনকালে এটি বহু সাম্রাজ্য ও রাজ্যের আধিপত্যের সাক্ষী হয়েছে, যেমন গ্রেকো-ব্যাকট্রিয়ান, কুশান, হেফথালিট, সাফারি, সামানি, গজনবী, ঘুরি, খিলজি, কারতি, মুঘল, হুতাক ও দুররানি সাম্রাজ্য।

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির অধিকাংশ অংশ পর্বত ও মরুভূমি। কেবল পার্বত্য উপত্যকা ও উত্তরের সমভূমিতে গাছপালা দেখা যায়। গ্রীষ্ম গরম ও শুষ্ক, আর শীত প্রচণ্ড ঠান্ডা। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

আফগানিস্তানের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পশুপালন নির্ভর। গম, যব, ভুট্টা, ধান, তুলা প্রধান ফসল। হস্তশিল্পও গুরুত্বপূর্ণ, যেমন কার্পেট তৈরি। সম্প্রতি, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে। আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তামা, লোহা, লিথিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

আফগানিস্তানের ইতিহাস বহু যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দ্বারা চিহ্নিত। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আক্রমণ এবং এর পরের গৃহযুদ্ধ দেশটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতা দখল করে, যা ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের পর পতন ঘটে। বর্তমানে দেশটি একটি গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা শাসিত, তবে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বড় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

আফগানিস্তানের জনসংখ্যা বহু জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত, যার মধ্যে পশতুন, তাজিক, উজবেক, হাজারা প্রধান। প্রায় সবাই মুসলিম। দেশটিতে দারি ও পশতু দুটি রাষ্ট্রভাষা।

মূল তথ্যাবলী:

  • আফগানিস্তান হলো একটি পাহাড়ি ভূ-বেষ্টিত দেশ।
  • এটি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত।
  • এর ইতিহাস বহু সাম্রাজ্য ও রাজ্যের সাক্ষী।
  • অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পশুপালন নির্ভর।
  • সম্প্রতি, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ব্যাপকভাবে চলছে।
  • দেশটি বহু যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী হয়েছে।

গণমাধ্যমে - আফগানিস্তান

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আফগানিস্তান জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত করেছে।