ইংল্যান্ড: ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ
ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি দেশ। পশ্চিমে ওয়েলস, উত্তরে স্কটল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিমে আয়ারিশ সাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে সেল্টিক সাগরের সীমানা ঘেঁষে। পূর্বে উত্তর সাগর এবং দক্ষিণে ইংলিশ চ্যানেল এটিকে ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এবং অনেক ছোটো ছোটো দ্বীপ নিয়ে ইংল্যান্ড গঠিত। যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৩% ইংল্যান্ডে বাস করে। লন্ডন, ইংল্যান্ডের রাজধানী, একই সাথে ইউরোপের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
ঐতিহাসিকভাবে, ইংল্যান্ড বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রোমান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে মধ্যযুগীয় সময়কাল, শিল্প বিপ্লব এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্থান, ইংল্যান্ডের ইতিহাস রোমাঞ্চকর ও ঘটনাবহুল। ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক স্থাপত্য, যেমন স্টোনহেঞ্জ, বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
অর্থনীতিতে, ইংল্যান্ড একটি উন্নত দেশ। ব্যাংকিং, বীমা, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন এবং শিল্প উৎপাদন এর অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি। লন্ডন বিশ্বের প্রধান আর্থিক কেন্দ্রগুলোর একটি।
ক্রীড়াঙ্গনে, ইংল্যান্ড বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফুটবল এবং ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এখানে অতুলনীয়। ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম, ইংল্যান্ডের প্রধান ফুটবল স্টেডিয়াম, ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়াম। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ক্রিকেটের বিশ্বের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।
লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর ইংল্যান্ডের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
সারসংক্ষেপে, ইংল্যান্ড ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও ক্রীড়া— সকল ক্ষেত্রেই ইউরোপ ও বিশ্বের মঞ্চে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।