এই তথ্য অনুযায়ী, একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে "মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার" নামটি সম্পর্কিত হতে পারে। এই অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য, আমরা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুইজন মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করছি:
১. বিচারপতি মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার:
বিচারপতি মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য। তিনি ১৯৬৪ সালের ১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জেলা আদালতের আইনজীবী এবং ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তিনি আপিল বিভাগে আইনজীবী হন এবং ২০১০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালে তাকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়। বিচারপতি মনিরুল ইসলাম তালুকদার ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস বিদ্রোহ মামলার রায় প্রদানে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তদুপরি, দুর্নীতি মামলায় একেএমএ আউয়াল সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রীকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন। পিকে হালদারের সহযোগীদের আটক করতে সরকারের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলমের জামিন আবেদনের উপর বিভক্ত রায় দিয়েছেন। তিনি ২০২১ সালে ভার্চুয়াল শুনানি ত্যাগ করেছিলেন এবং অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২. ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম:
এই মো. মনিরুল ইসলাম হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ উঠেছিল। প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, এই অভিযোগের তদন্তের জন্য হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে যে তিনি অবৈধভাবে ভবন-প্লটসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার ভবন দখল করেছেন।
উল্লেখ্য: এই দুই মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি এবং তাদের কর্মক্ষেত্র ও ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই তাদের নামের সাদৃশ্য একাধিক ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।