মসুদ মান্নান: একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক
মসুদ মান্নান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একজন অভিজ্ঞ ও সম্মানিত কূটনীতিক। ২১ এপ্রিল ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণকারী মান্নান বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর আগে উজবেকিস্তান, জার্মানি, মরক্কোতেও তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তান, কাজাখস্তান প্রজাতন্ত্র এবং কিরগিজ প্রজাতন্ত্রেও স্বীকৃত ছিলেন।
জার্মানিসহ ইউরোপের ৬টি দেশে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকীতে, তিনি জার্মানি থেকে চেক প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত রবীন্দ্র সাহিত্য ও দর্শন তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্র অনুরাগী পরিবারে বেড়ে উঠেছেন এবং রবীন্দ্র সাহিত্য ও দর্শনে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে যৌথভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, তিনি জার্মানি, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়ায় বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তার মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশগুলির মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের কাছে রবীন্দ্র দর্শন পৌঁছে দেওয়া।
চীন ও মরক্কোতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের সময় তিনি কাজী নজরুল ইসলাম ও বাংলা সংস্কৃতির অন্যান্য দিক তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কূটনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
তার কর্মজীবনে তিনি বেইজিং, নিউইয়র্ক সিটি, মাস্কাট ও লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ২০০০-২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেছেন এবং নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের একজন বিকল্প প্রতিনিধি ছিলেন। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন সম্পর্কিত জার্মানির বন শহরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের আফগানিস্তান সহায়তার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
মসুদ মান্নানের সাক্ষাৎকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার কূটনৈতিক দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আমরা আরও অনুসন্ধান করে আপনাদের পরবর্তীতে অবহিত করব।