জাহাজ হত্যাকাণ্ড

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ঘটে যাওয়া জাহাজে ৭ জনের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সকালে, ‘এমভি আল-বাখেরা’ নামে একটি সারবাহী জাহাজে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলার পর এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পাঁচজন মৃত এবং দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আহতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে মারা যান।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া এবং তার ভাগ্নে লস্কর শেখ সবুজ। অন্য নিহতরা হলেন: ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন মোল্লা, সজিবুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম মুন্সি, মাজেদুল ও রানা। আহত এক ব্যক্তি ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে ডাকাতির ধারণা করা হলেও, পুলিশ ও স্বজনরা ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে। জাহাজে অর্থ বা মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহতদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

ঘটনার পর, নৌ-যান শ্রমিকরা সরকারের কাছে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে, অন্যথায় নৌপথ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরও তথ্যের আশায় আহত ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এই নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেছে এবং সরকারের কাছে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জোরদার করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে ৭ জন নিহত
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ঘটনাটি ঘটে
  • জাহাজের মাস্টার ও ভাগ্নেসহ ৭ জন নিহত
  • পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ
  • নৌ-যান শ্রমিকদের ৭২ ঘণ্টা আলটিমেটাম
  • শিল্প মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন

গণমাধ্যমে - জাহাজ হত্যাকাণ্ড

১২/২৫/২০২৪

মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।