দুই মো. মাহবুব মোরশেদের জীবনী ও অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
প্রথম মো. মাহবুব মোরশেদ:
এই মাহবুব মোরশেদ একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৯ জানুয়ারি রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. শওকত আলী এবং মাতার নাম মোরশেদা বেগম। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি আজকের কাগজ, দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল, দৈনিক কালের কণ্ঠ, এবং দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আবুল কালাম আজাদের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ‘ব্যক্তিগত বসন্তদিন’, ‘ফেস বাই ফেস’, ‘দেহ’ সহ বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন।
দ্বিতীয় মো. মাহবুব মোরশেদ (সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ):
এই মো. মাহবুব মোরশেদ ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী বিচারপতি। তিনি ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সৈয়দ আবদুস সালিক এবং মাতা ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের বোন আফজালুন্নেছা বেগম। তিনি ১৯৩৯ সালে লায়লা আরজুমান্দ বানুর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ১৯২৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় রাজশাহী বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ (সম্মান) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড থেকে ‘বার-এট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলকাতা ও ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডহক বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬৭ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান ভোট’ ধারণা প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।