জঙ্গি সংগঠন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন: একটি বিশ্লেষণ

বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও অবক্ষয়ের ইতিহাস বেশ জটিল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন আদর্শ নিয়ে, কখনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে, আবার কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করেছে এসব সংগঠন। গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলা (২০১৬) এর পর থেকে পুলিশের তীব্র অভিযানের ফলে এদের নেতৃত্ব ও নেটওয়ার্ক অনেকাংশে ধ্বংস হলেও তাদের তৎপরতা একেবারে শেষ হয়নি।

প্রাথমিক উত্থান (১৯৯৯-২০০৫): ১৯৯৯ সালের যশোরের উদীচী সম্মেলনে বোমা হামলাকে জঙ্গি তৎপরতার একটি বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ঢাকায় বোমা হামলার ঘটনা এবং ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর ভূমিকা উঠে আসে। এই সময় জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই (সিদ্দিকুল ইসলাম) সহ অনেককে আটক ও ফাঁসি দেওয়া হয় (২০০৭)।

নব্য জেএমবি ও গুলশান হামলা (২০১৬): জেএমবি’র পুনর্গঠিত সংস্করণ ‘নব্য জেএমবি’ ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার জন্য দায়ী করা হয়। এই হামলায় বহু বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। হামলার পর ব্যাপক অভিযানে অনেক জঙ্গি নিহত ও গ্রেফতার হয়।

বর্তমান অবস্থা: পুলিশের দাবি, বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব ও নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত। আনসার আল ইসলাম নামে একটি সংগঠনের তৎপরতা মাঝে মধ্যে দেখা যায়। তবে অনলাইন মাধ্যমে তাদের প্রচার ও নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে আরেকটি সংগঠন ও আলোচনায় এসেছে যার সাথে পাহাড়ি অঞ্চলের কুকি-চিন গোষ্ঠীর সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কার্যক্রম নজরদারি করে যাচ্ছে। অনেক জঙ্গিদের ডি-রেডিক্যালাইজেশনের চেষ্টা চলছে।

তথ্যের অভাব: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংগঠন ছাড়াও আরো কিছু জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব থাকতে পারে। আমাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য নেই। অধিক তথ্য প্রাপ্তির পর আমরা এই লেখা আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • ২০০৫ সালে জেএমবি’র ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়।
  • ২০১৬ সালের গুলশান হামলার পর সরকার ব্যাপক অভিযান চালায়।
  • বর্তমানে আনসার আল ইসলাম সহ কিছু ছোট সংগঠনের তৎপরতা দেখা যায়।
  • অনলাইন মাধ্যমে জঙ্গিদের প্রচার ও নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।