হায়দার: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
"হায়দার" নামটি একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলি থেকে আমরা বিভিন্ন হায়দারদের সম্পর্কে জানতে পারি:
১. গাজীউদ্দীন হায়দার (১৮১৫-১৮৪৩): ঢাকার এক নবাব পরিবারের সদস্য, ঢাকার নায়েব নাজিম ছিলেন। তরুণ বয়সে দায়িত্ব পালনকালে অশিক্ষিত, অমিতব্যয়ী ও সুরাপানে আসক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। দরিদ্রদের প্রতি দানশীল ও ক্ষমাশীল হলেও অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ইংরেজ সরকার তাঁর ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিল। ২৮ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
২. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯২৭-১৯৭১): নোয়াখালী জেলার একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি অপহরণের শিকার হন এবং তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
৩. সৈয়দ জহির হায়দার (১৯২৭-২০০৮): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রসায়নবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন এবং রসায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। বহু গবেষণাপত্র ও বই রচনা করেছেন।
৪. লে. কর্নেল এ.টি.এম হায়দার (১৯৪২-১৯৭৫): বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেক্টর কমান্ডার। পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পরিচালিত সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।
৫. খাজা জান শায়েক হায়দার (১৯শ শতক): ফারসি ও উর্দু ভাষার একজন কবি। ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দিল্লীর বিখ্যাত কবি মীর্জা গালিবের শিষ্য ছিলেন।
৬. বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী (১৯২৫-১৯৯৮): একজন আইনশাস্ত্রজ্ঞ ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।
৭. হায়দার হোসেন: একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক এবং কী-বোর্ড বাদক।
৮. জিয়া হায়দার (১৮ নভেম্বর ১৯৩৬ - ২ সেপ্টেম্বর ২০০৮): একজন বাংলাদেশী লেখক, কবি, নাট্যকার, অনুবাদক ও অধ্যাপক।
৯. হায়দার (২০১৪ চলচ্চিত্র): বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত একটি ভারতীয় ক্রাইম ট্র্যাজেডি চলচ্চিত্র।
উল্লেখ্য, "হায়দার" নামের আরও অনেক ব্যক্তি থাকতে পারেন যাদের সম্পর্কে এখানে উল্লেখ নেই। যদি আপনার আরও কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয়, আমরা আপনাকে সেই তথ্য দিয়ে আপডেট করব।