আলিগড়: উত্তরপ্রদেশের একটি ঐতিহাসিক নগরী
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড় জেলায় অবস্থিত আলিগড় শহরটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগতভাবে সমৃদ্ধ। ১২শ শতকে ‘কোল’ নামে পরিচিত এই শহরটি পরবর্তীতে মুঘল সাম্রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। ১৬শ শতকে আলিগড় দুর্গ পুনর্নির্মাণের পর এর নামকরণ ‘আলিগড়’ হয়। এই শহরটি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিখ্যাত, যা ১৮৭৫ সালে মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ‘আলিগড় আন্দোলন’ এর সূত্রপাত ঘটায়।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আলিগড়ের জনসংখ্যা ৮৭৪,৪০৮ জন। এখানে পুরুষের সংখ্যা ৫২.৭৪% এবং নারী ৪৭.২৬%। সাক্ষরতার হার ৬৪.৫২%। আলিগড় একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি বাণিজ্য কেন্দ্র এবং বিশ্বজুড়ে রপ্তানিযোগ্য তালা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে পিতলের হার্ডওয়্যার ও ভাস্কর্য তৈরির কারিগরি প্রাচুর্য আছে।
আলিগড়ের ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে আলিগড় দুর্গ, জামে মসজিদ, এবং খেরেশ্বর মন্দির উল্লেখযোগ্য। শহরে বহু সূফী সাধকের মাজারও রয়েছে, যার মধ্যে সৈয়দ শাহ জামালের মাজার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানকার বাৎসরিক সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী ‘নুমাইশ’ বেশ খ্যাতিমান।
আলিগড় একটি রেল এবং সড়ক যোগাযোগ কেন্দ্র। আলিগড় জংশন রেলস্টেশন দিল্লি-কলকাতা রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। উত্তরপ্রদেশ রাজ্য রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ইউ.পি.এস.আর.টি.সি) এর বাস পরিষেবা শহরটিকে ভারতের অন্যান্য শহরের সাথে সংযুক্ত করে। সাম্প্রতিককালে আলিগড়ে একটি বিমানবন্দরও চালু হয়েছে।
আলিগড় শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক প্রাচুর্য, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে পরিচিত। আরও তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই লেখাটি আরও বিস্তারিত করে আপডেট করব।