হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিন: একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও তথ্য কমিশনার
এই নিবন্ধটি হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তির জীবনী ও কর্মজীবন সম্পর্কে আলোকপাত করবে। উল্লেখ্য, এই নামটির সাথে একাধিক ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তাই নিবন্ধটিতে উল্লেখিত তথ্য বিশেষ করে সৌদি আরবে প্রবাসী হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিন এর সাথে সম্পর্কিত।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা: হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিনের জন্ম তারিখ ও প্রাথমিক জীবনের বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না।
কর্মজীবন: হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মিশরে পাকিস্তান দূতাবাসে অবস্থান করছিলেন এবং আরবি অধ্যয়ন করছিলেন। তিনি প্রবাসে থাকা বাঙালি সরকারের পক্ষে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়েছিলেন এবং তা সফলতার সাথে পালন করেন। ২০০৩ সালে তিনি ব্রাসেল ভিত্তিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ৩১ মার্চ ২০১০ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার নিযুক্ত হন এবং ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা পরিষদে নিযুক্ত হন। জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের স্বাধীন আপিল প্যানেলের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ফোকলোর রিসার্চ সেন্টারের সভাপতি এবং বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি সোসাইটির চেয়ারম্যান। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কলাবাইজ্জেঘোনা এলাকায় জমি কিনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেন। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার স্বাধীন স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনে নির্বাচিত হন।
পারিবারিক জীবন: তার স্ত্রী নাসরিন জমির ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অনারারি কনসাল, ইনটেরিয়র ডিজাইনার, ব্যবসায়ী এবং নারী উদ্যোক্তা।
চাঁদাবাজি ও গাছ কাটা ঘটনা: হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিনের বাগানে চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন এবং না পাওয়ায় বাগান থেকে প্রায় আড়াইশ গাছ কেটে ফেলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
উপসংহার: হাফেজ মোহাম্মদ জমির উদ্দিন বাংলাদেশের রাজনীতি, কূটনীতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর কর্মজীবন ও জীবনের বিভিন্ন দিক অনুসন্ধানের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে।