সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটিতে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এবং এই অনিয়মের প্রেক্ষাপটে একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর, রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৪' শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনাচার হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত ১৫ বছরে উচ্চ আদালত মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং মানুষকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে খাদিজা কেসে আপিল বিভাগের দীর্ঘদিন জামিনের শুনানি পেছানোর ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেছেন, উচ্চ আদালতে এমন কিছু বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন যারা নিম্ন আদালতে বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছেন।

আসিফ নজরুলের মতে, শুধুমাত্র উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগেই নয়, আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ, বেঞ্চ গঠন এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়ম রয়েছে। তিনি বর্তমান নিয়োগ ব্যবস্থার সমালোচনা করে একটি নতুন, সংবিধানসম্মত ও আরও দক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রবর্তনের উদ্যোগের কথা জানান।

এই মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামীম হাসনাইন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা সহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন। তাদের বেশিরভাগই উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আলোচনায় আসিফ নজরুল বলেছেন যে, হাইকোর্টের অনেক বিচারক একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুগত ছিলেন এবং অনিয়ম করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, জুডিসিয়াল ক্যু এর আশঙ্কায় দ্রুত নিয়োগ প্রয়োজন হয়েছিল, যদিও সেই নিয়োগে ভুল থাকতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই কাউন্সিলটি বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাবনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা অন্তর্ভুক্ত।

মূল তথ্যাবলী:

  • সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
  • নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য 'জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল' গঠনের প্রস্তাব।
  • গত ১৫ বছরে উচ্চ আদালত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ২৩ জন বিচারপতির দ্রুত নিয়োগের ঘটনায় অনিয়মের আশঙ্কা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অনাচারের অভিযোগের জন্য একটি নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনাচারের অভিযোগ উঠেছে।

ব্যক্তি:আসিফ নজরুলসৈয়দা রিজওয়ানা হাসানমো. আসাদুজ্জামানজয়নুল আবেদীননিতাই রায় চৌধুরীএ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসারা হোসেনরুহুল কুদ্দুস কাজলবোরহান উদ্দিনআমিরুল ইসলামজ্যোতির্ময় বড়ুয়াসৈয়দ রেফাত আহমেদমো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারসৈয়দ এনায়েত হোসেনমো. মনসুর আলমসৈয়দ জাহেদ মনসুরকে এম রাশেদুজ্জামান রাজামো. যাবিদ হোসেনমুবিনা আসাফকাজী ওয়ালিউল ইসলামআইনুন নাহার সিদ্দিকামো. আবদুল মান্নানতামান্না রহমানমো. শফিউল আলম মাহমুদমো. হামিদুর রহমাননাসরিন আক্তারসাথিকা হোসেনসৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনমো. তৌফিক ইনামইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনশেখ তাহসিন আলীফয়েজ আহমেদমো. সগীর হোসেনশিকদার মাহমুদুর রাজীদেবাশীষ রায় চৌধুরী