সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। ৯ মার্চ ২০২৪ সালে রাজধানীর পল্টন এলাকার নিজ চেম্বার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৪ দিনের রিমান্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে ২০ জন আসামির মধ্যে দুই নম্বর আসামি করা হয়। এক নম্বর আসামি ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথী। ভোট গণনা কেন্দ্রিক হিংসার এই মামলায় তাকে হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় এবং ২১শে মার্চ ২০২৪ সালে কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান।
রুহুল কুদ্দুস কাজল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তিনবারের নির্বাচিত সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বিএনপির আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হিংসার ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ ২০ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এই মামলাতেই রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার ওসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা, সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও সোহাগ। এ ছাড়াও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এই ঘটনার অধিকতর তথ্য উপলব্ধ হলে আর্টিকেলটি আপডেট করা হবে।