সালাহউদ্দীন নামটি দুই ব্যক্তি, সংগঠন বা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য আমরা তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করব।
প্রথম সালাহউদ্দীন:
এ. এফ. সালাহউদ্দীন আহমদ (২১ সেপ্টেম্বর ১৯২০ - ১৯ অক্টোবর ২০১৪) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় উপমহাদেশীয় উদারবাদী, মুক্তচিন্তক এবং ঐতিহাসিক। পেশাগত জীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বিশ্বাসে ও আচরণে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৮ সালে জগন্নাথ কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির উপর অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
দ্বিতীয় সালাহউদ্দীন:
আবু নাসির সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব (১১৩৭/১১৩৮ – ৪ মার্চ ১১৯৩), যিনি সালাহউদ্দিন আইয়ুবি নামেও পরিচিত, ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। পশ্চিমা বিশ্বে তিনি সালাদিন নামে পরিচিত। তিনি কুর্দি বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং শামে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে মুসলিম প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি সামরিক দক্ষতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ১১৮৭ সালে জেরুজালেম জয় করে ইসলামি বিশ্বে তাঁর প্রতিপত্তি অসীম বৃদ্ধি পায়।
উভয় সালাহউদ্দীনই তাদের যুগের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যারা তাদের কাজ ও নেতৃত্বের জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।