সংরক্ষিত নারী আসন

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৬ এএম

বাংলাদেশের সংবিধানে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ধারণাটি চালু করা হয় ১৯৭২ সালে। এই আসনগুলোতে নারীরা সরাসরি জনগণের ভোটে নয়, বরং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মনোনয়নে পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে এই আসনগুলো বণ্টন করা হয়। তবে এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর এবং নারীদের প্রকৃত ক্ষমতায়নে কতটা অবদান রাখছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার।

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে আলোচনা আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংরক্ষিত আসন নিয়ে তাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্নে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের দাবী, তারা দলের প্রতি অবদান, জোট বা দলের অন্যদের সুযোগ করে দিতে সরাসরি নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, এমন নেত্রীদের কথা বিবেচনা করে মনোনয়ন দিচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীনেত্রীরা, বিনোদন জগতের তারকারা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীরা—সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল।

বিগত সংসদে আওয়ামী লীগের ৪৩টি সংরক্ষিত নারী আসন ছিল। এবার আওয়ামী লীগ প্রায় ৪৮টি আসন পেতে পারে। এতে বেশিরভাগই নতুন মুখ থাকবে। কিছু সংখ্যক পুরাতন সাংসদকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। জাতীয় পার্টি ২টি আসন পেতে পারে। সংরক্ষিত আসন বণ্টনে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নির্বাচিত ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা যায়। স্বতন্ত্রদের ভাগের ১০টি আসনও আওয়ামী লীগই পেতে পারে।

সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছে। কিছু মহল মনে করেন, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য এ ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় নয়। নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। অন্যদিকে, এই ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে, নারীদের রাজনীতিতে আরও ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এটি প্রয়োজন। সাম্প্রতিক নির্বাচনে সাধারণ আসনে নির্বাচিত নারী প্রার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় সংরক্ষিত আসনের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন চালু
  • সংসদে আসন অনুপাতে আসন বণ্টন
  • দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পেতে পারে
  • নারী ক্ষমতায়নে সংরক্ষিত আসনের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক
  • সাধারণ আসনে নারী প্রতিনিধিত্বের অভাব

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সংরক্ষিত নারী আসন

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণ আসনের মতো সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব সংস্কার কমিশন দিয়েছে।