বাংলাদেশের রাজনীতি: একটি জটিল বর্ণনা
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি বহুমুখী ও জটিলতাপূর্ণ। একটি সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে, দেশটির রাজনীতি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইন্দ্রজালিক খেলায় পরিচালিত হয়। ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে উল্লেখযোগ্য সংশোধনী যোগ করা হলেও, সামরিক শাসন, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কখনও কখনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্ব, এবং এ দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত আন্দোলন, সহিংসতা এবং হত্যাকাণ্ড, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে কখনোই স্থিতিশীল রাখতে পারেনি। জাতীয় পার্টি, জামায়াত-ই-ইসলামী, এবং অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলোও রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা পালন করে আসছে। ছাত্র রাজনীতিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। এরশাদের আমলেও সামরিক শাসন ছিল। ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে, পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি এবং সহিংসতার সমস্যা থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি এখনও মুক্ত নয়। শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছে এবং তাদের নেতৃত্বাধীন দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, ব্যক্তি, তারিখ, স্থান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান প্রণয়ন, বিভিন্ন নির্বাচন, সামরিক অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, গণআন্দোলন ইত্যাদি ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসকে গঠন করেছে। এই রাজনৈতিক ঘটনাবলীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যেমন শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ইত্যাদির অবদান রয়েছে। বিভিন্ন স্থান, যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ইত্যাদি বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে যুক্ত। রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সংবিধান এবং আইন বাংলাদেশের রাজনীতির গঠন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজনৈতিক পরিবেশের অস্থিরতা, দুর্নীতি, এবং জনগণের অসন্তোষ উল্লেখযোগ্য।