শেখ আবু সাঈদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

শেখ আবু সাঈদ নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। এই দ্ব্যর্থতা দূর করার জন্য আমরা এখানে দুই শেখ আবু সাঈদের জীবনী সংক্ষেপে তুলে ধরব।

প্রথম শেখ আবু সাঈদ:

এই আবু সাঈদ (২০০১ - ১৬ জুলাই ২০২৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এবং ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং আন্দোলনের রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক ছিলেন। ১৬ই জুলাই, ২০২৪ সালে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। কোটা আন্দোলনকারীরা তাকে আন্দোলনের প্রথম শহীদ বলে অভিহিত করেছিল। তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষাগত অর্জনের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জাফর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ, খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি-তে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি-তে জিপিএ-৫। ২০২০ সালে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। তার মৃত্যুর পর রংপুরে তার নামে চত্বর এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামকরণ করা হয়।

দ্বিতীয় শেখ আবু সাঈদ:

এই আবু সাঈদ চৌধুরী (৩১ জানুয়ারী ১৯২১ - ২ আগস্ট ১৯৮৭) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট বিচারপতি এবং রাষ্ট্রপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অ্যাডভোকেট জেনারেল, ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি এবং পাকিস্তানের সাংবিধানিক কমিশনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জেনেভায় ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডনে তার মৃত্যু হয়।

শেখ আবু সাঈদ (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

• ২০০১ সালে জন্মগ্রহণ, ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনে নিহত।

• রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক।

• কোটা আন্দোলনের প্রথম শহীদ।

• ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ, ১৯৮৭ সালে মৃত্যু।

• বাংলাদেশের বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি।

• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন।

এই নিবন্ধে দুইজন শেখ আবু সাঈদের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে, যাতে তাদের মধ্যেকার দ্ব্যর্থতা দূর করা সম্ভব হয়। একজন ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্র, এবং অপরজন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনা, শামসুজ্জোহা, মকবুল হোসেন, মনোয়ারা বেগম, আব্দুল হামিদ চৌধুরী, আইয়ুব খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মোশতাক আহমেদ, মুহাম্মদ ইউনূস, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ফারুখ ফয়সাল

রংপুর, পীরগঞ্জ, বাবনপুর, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, কালিহাতী, নাগবাড়ি, ঢাকা, লন্ডন, জেনেভা, কলকাতা

শেখ আবু সাঈদ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০১ সালে জন্মগ্রহণ, ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনে নিহত।
  • রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক।
  • কোটা আন্দোলনের প্রথম শহীদ।
  • ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ, ১৯৮৭ সালে মৃত্যু।
  • বাংলাদেশের বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শেখ আবু সাঈদ

শেখ আবু সাঈদ ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।