মকবুল হোসেন চৌধুরী (১৮৯৮-১৯৫৭): স্বাধীনতা সংগ্রামী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার বিন্নাকুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল হোসেন চৌধুরী এবং মাতা আজিজুন্নেছা চৌধুরী। ১৯১৯ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯২০ সালে এম.সি কলেজে ভর্তি হন। খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯২০ সালের ২০ ডিসেম্বর নাগপুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস ও খেলাফত কনফারেন্সে সিলেটের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ১৯২২ সালে গ্রেফতার হন। ১৯২৫ সালে 'যুগবাণী' এবং ১৯৩২ সালে 'যুগভেরী' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি কিছুদিন 'ছোলতান' ও 'সিলেট' পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের মনোনয়নে আসাম ব্যবস্থাপক পরিষদের এম.এল.এ নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালের সিলেট গণভোটে পাকিস্তানে সিলেট যুক্ত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সুনামগঞ্জে নেতৃত্ব দেন এবং রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ সভার নেতৃত্ব দেন। তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'খোলাফায়ে রাশেদীন', 'কোরান শরীফের ইতিহাস', 'জ্ঞানবাণী', 'কোরান পরিচয়', 'ইসলামী জীবনাদর্শ', 'শেখ আব্দুল কাদের জিলানী', 'মুজাদ্দিদে আলফে-সানী' ও 'মাল্টার বন্দী'। ২০ ডিসেম্বর ১৯৫৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মকবুল হোসেন
মূল তথ্যাবলী:
- মকবুল হোসেন চৌধুরী ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক।
- তিনি খিলাফত আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- সিলেটের গণভোটে পাকিস্তানে সিলেট যুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন।
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন।