শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর: বাংলাদেশের রাজস্ব সুরক্ষার অগ্রণী সংস্থা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অবদান অপরিসীম। ১৯৭৩ সালে ‘পরিদর্শন পরিদপ্তর, শুল্ক আবগারী ও ভ্যাট’ নামে যাত্রা শুরু করে এ দপ্তরটি। ২০০৭ সালে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান নামে পরিচিত হয়। এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে কাজ করে এবং দেশের সকল ভ্যাট কমিশনারেট এর আওতায় রয়েছে।
কাজের প্রকৃতি:
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কাজ হলো শুল্ক ফাঁকি, চোরাচালান এবং অন্যান্য কাস্টমস অপরাধ প্রতিরোধ করা। এরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে, তদন্ত করে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর সাথে তারা মাদক, অস্ত্র, জাল মুদ্রা, এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান রোধেও কাজ করে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা কাজ করে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ও ঘটনা:
- ১৯৭৩: ‘পরিদর্শন পরিদপ্তর, শুল্ক আবগারী ও ভ্যাট’ নামে দপ্তরটির যাত্রা শুরু।
- ২০০৭: দপ্তরের নাম পরিবর্তন করে ‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর’ করা হয়।
- বিভিন্ন সময়ে বিশাল অঙ্কের সোনা, মাদক ও অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ এবং চোরাচালানকারীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে।
সংগঠনের কাঠামো:
দপ্তরটির জনবল কাঠামোতে মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রমুখ পদ রয়েছে।
অবস্থান:
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত।
সাম্প্রতিক ঘটনা:
সাম্প্রতিককালে উড়োজাহাজে সোনার চোরাচালানের ঘটনায় দপ্তরটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এয়ারলাইন্সকে আগেই সতর্ক করেও চোরাচালানের ঘটনা ঘটলে বিমান জব্দ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উদ্দেশ্য:
দেশের রাজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক অপরাধ প্রতিরোধ করা এবং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।