শিশু অপহরণ

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২০ এএম

বাংলাদেশে শিশু অপহরণ: একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতা

সম্প্রতি বাংলাদেশে শিশু অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়া একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতা। এই ঘটনাগুলির পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে জিম্মি করা, পাচার, যৌন নির্যাতন, এবং পারিবারিক শত্রুতা। এই প্রতিবেদনে আমরা শিশু অপহরণের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করব।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা:

  • তাহসিন ও কাওসারের ঘটনা: রাজধানীর হাজারীবাগে তাবাসসুম (৬) ও তাহসিন (২ বছর ৪ মাস) নামের দুই ভাই-বোনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। তাহসিনকে অপহরণ করা হয় কিন্তু পরে উদ্ধার করা হয়। কাওসারকে এক নারী খাবার কিনে দিয়ে সঙ্গে নিয়ে যায় কিন্তু পরে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়।
  • মুনতাহার হত্যা: সিলেটের ৫ বছরের মুনতাহা নিখোঁজ হয়ে যায় এবং পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
  • সাদিয়ার হত্যা: যশোরের ৭ বছরের সাদিয়া খাতুনকে তার কানের দুলের জন্য হত্যা করা হয়।
  • আজিমপুরের শিশু অপহরণ: রাজধানীর আজিমপুর থেকে ৮ মাসের এক শিশুকে ডাকাতির সাথে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে র‍্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
  • পুলিশের তথ্য: গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শিশু অপহরণের ৬৯৫টি মামলা দায়ের হয়। ৪৯১ শিশু উদ্ধার হলেও, ২৯ শতাংশ শিশু উদ্ধার হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি:

  • নুরুল ইসলাম (তাহসিনের বাবা)
  • সাইফুল ইসলাম (পুলিশ পরিদর্শক)
  • মেরিনা আক্তার (কাওসার অপহরণের সাথে জড়িত)
  • ইমরান হোসেন (কাওসারের চাচা)
  • রামিমা বেগম ও শামীম আহমেদ (মুনতাহার বাবা-মা)
  • চম্পা খাতুন (সাদিয়ার হত্যার সাথে জড়িত)
  • মো. মাসুদ রানা (মারিয়ার বাবা)
  • মো. আবুল হাসান (পুলিশ কর্মকর্তা)
  • মার্শাল টিটু (আবরারের চাচা)
  • আবির আলী (আলিনার হত্যার সাথে জড়িত)
  • সাহেদা আক্তার ও সোহেল রানা (আলিনার বাবা-মা)
  • ফাতেমা আক্তার শাপলা (আজিমপুরের শিশু অপহরণের মাস্টারমাইন্ড)
  • আবু জাফর (আজিমপুরের অপহৃত শিশুর বাবা)

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

পুলিশের তথ্য অনুসারে, শিশু অপহরণের ঘটনায় তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। তবে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের কঠোর প্রয়োগ, এবং পারিবারিক ও সামাজিক স্তরে সচেতনতার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় উদ্ধার না হওয়া শিশুরা হত্যার শিকার হয়েছে কি না, সেটাও জানা যায় না। লাশ উদ্ধার না হলে পুলিশ সেগুলো ‘নিখোঁজ’ লিখে দায়মুক্ত হয়ে যায়।

আরো তথ্যের জন্য:

আমরা এই ঘটনাগুলি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি এবং আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে শিশু অপহরণের ঘটনা বেড়েছে
  • অর্থ আদায়, পাচার, যৌন নির্যাতন, পারিবারিক শত্রুতা হচ্ছে মূল কারণ
  • ২০২৫ সালে অনেক ঘটনা ঘটেছে
  • পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে কিন্তু অনেক শিশু উদ্ধার হয়নি
  • শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সচেতনতা ও আইনের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শিশু অপহরণ

শিশু অপহরণের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।