লিটন ব্যাপারী: দুটি আলাদা ঘটনার দুটি আলাদা লিটন
প্রদত্ত লেখা থেকে বোঝা যায়, "লিটন ব্যাপারী" নামটি দুটি আলাদা ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। একজনের সাথে একটি হত্যা মামলা এবং অন্যজনের সাথে একটি নির্বাচনী হামলার ঘটনা জড়িত। এই অস্পষ্টতা দূর করার জন্য আমরা তাদের পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করবো।
লিটন ব্যাপারী (হত্যা মামলা):
এই লিটন ব্যাপারী ২০১০ সালের ৯ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রাড়ীপাড়া এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তার ভাই মতিউর রহমান ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং পরবর্তীতে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় লিটন ব্যাপারীর।
লিটন ব্যাপারী (নির্বাচনী হামলা):
বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপনির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় আহত হন মো. লিটন ব্যাপারী, যিনি গৌরনদী পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং নারিকেলগাছ প্রতীকের সমর্থক। ঘটনার সাথে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, এবং আরও অনেকে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
উভয় লিটন ব্যাপারীর ব্যক্তিগত তথ্য, বয়স, জাতিগত পরিচয় ইত্যাদি প্রদত্ত লেখায় উল্লেখ করা হয়নি।