যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একটি গুরুতর অপরাধের জন্য দেওয়া সর্বোচ্চ শাস্তি, যেখানে দোষী ব্যক্তিকে তার জীবনের বাকি সময় কারাগারে কাটাতে হয়। বিভিন্ন দেশে এই শাস্তির প্রয়োগ এবং প্রকৃতি ভিন্ন। কিছু দেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে ক্ষমা, প্যারোল বা নির্দিষ্ট মেয়াদে রূপান্তরের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়, অন্যদিকে অনেক দেশে এটি অপরিবর্তনীয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পর্তুগাল ১৮৮৪ সালে প্রথম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল করে। এই শাস্তি বহু দেশে বিদ্যমান থাকলেও, এর ব্যবহার এবং প্রভাব নিয়ে নৈতিক ও আইনগত বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের বিরুদ্ধে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আধুনিক যুগে, মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক আইন এই শাস্তির ন্যায়সঙ্গততা ও মানবিক দিকগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে। মালয়েশিয়া সম্প্রতি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ৩০-৪০ বছরের কারাদণ্ড করেছে। সিঙ্গাপুরেও এর সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার ভিন্নতা এই শাস্তির প্রয়োগে পরিলক্ষিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো সর্বোচ্চ কারাদণ্ড
  • পর্তুগাল ১৮৮৪ সালে এটি বাতিল করেছিল
  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই শাস্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে
  • মানবাধিকার সংগঠন এর ন্যায়সঙ্গততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে
  • যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
  • মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সম্প্রতি এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে