রামরু

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:১১ পিএম

রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু): বাংলাদেশের অভিবাসন গবেষণার এক নাম

বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের গবেষণা ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা, নীতি উন্নয়ন, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে আসছে।

২০২৪ সালের শেষদিকে প্রকাশিত রামরুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে (নভেম্বর পর্যন্ত) বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অভিবাসীদের সংখ্যা প্রায় ৩০.৮০ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন, যখন ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নারী অভিবাসনের হারও ২০২৩ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৫৪ হাজার ৬৯৬ জন নারী কর্মী বিদেশ গেছেন, যা মোট অভিবাসীর ৬.০৩ শতাংশ।

রামরু আরও উল্লেখ করে যে, অভিবাসীদের গন্তব্য দেশের সংখ্যাও কমেছে। ২০২৪ সালে ৯০ শতাংশ অভিবাসী মাত্র ৬ টি দেশে গেছেন। সৌদি আরব (৬০%), মালয়েশিয়া (১০.৩০%), কাতার (৭.৫৬%), সিঙ্গাপুর (৫.৭৬%), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৫.২০%) এবং জর্ডান (১.৫৪%) হলো এ বছর অভিবাসীদের প্রধান গন্তব্য। ওমান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপসহ বেশ কয়েকটি দেশে এ বছর কোনও অভিবাসন হয়নি।

অভিবাসন কমার কারণ হিসেবে রামরু গণঅভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন দেশে অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং শোভন কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তা উল্লেখ করেছে।

রেমিট্যান্সের বৃদ্ধি:

রামরুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিবাসন কমার সাথে সাথে ২০২৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে রেমিট্যান্সের মোট পরিমাণ ২৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫৪ শতাংশ বেশি। ব্যাংকগুলোর উপর অভিবাসীদের আস্থা ফিরে আসার কারণে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুপারিশ:

রামরু অভিবাসন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: অভিবাসন বিষয়ক পৃথক কমিশন গঠন, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর নীতি প্রণয়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ট্রেনিং সেন্টারগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং রিক্রুটিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

রামরুর ভূমিকা:

রামরু বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে গবেষণা, নীতি নির্ধারণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের প্রতিবেদন ও গবেষণা ফলাফল সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন ৩০.৮% কমেছে।
  • নারী অভিবাসন ২২% কমেছে।
  • ৯০% অভিবাসী মাত্র ৬টি দেশে গেছে।
  • ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স ৩২.৫৪% বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • রামরু অভিবাসন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - রামরু

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

রামরু একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে শ্রম অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

রামরু ২০২৪ সালের অভিবাসন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:০০ এএম

রামরু (Refugee and Migratory Movements Research Unit) প্রবাসী আয় এবং কর্মসংস্থানের উপর গবেষণা করেছে।