পুরুষ: জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষ বলতে বোঝায় সেই জীব যা শুক্রাণু উৎপাদন করে। এই শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষিক্তকরণ ঘটায় এবং নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে। পুরুষের এই ভূমিকা প্রাণীজগতের বিভিন্ন প্রজাতিতে একই রকম নয়, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পুরুষের শারীরিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যও ভিন্ন হতে পারে।
জীববিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথক লিঙ্গের অস্তিত্ব বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন বংশে স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছে। অ্যানিসোগ্যামাস প্রজাতিতে, পুরুষ ও স্ত্রী গ্যামেটের আকার ও গঠনে পার্থক্য থাকে। পুরুষ গ্যামেট (শুক্রাণু) সাধারণত ছোট ও চলাচলক্ষম, যখন স্ত্রী গ্যামেট (ডিম্বাণু) বড় ও স্থির থাকে। এই পার্থক্যের কারণ গ্যামেটের একত্রীকরণ প্রক্রিয়ার শারীরিক সীমাবদ্ধতা।
লিঙ্গ নির্ধারণ শুধুমাত্র প্রাণীতেই সীমাবদ্ধ নয়। উদ্ভিদজগতেও পুরুষ এবং স্ত্রী গ্যামেট উৎপাদনের ভিন্নতা দেখা যায়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে, পুরুষ ও স্ত্রী গ্যামেট উৎপাদনকারী কাঠামো এবং সম্পূর্ণ উদ্ভিদ ই পুরুষ ও স্ত্রী রূপে পার্থক্য প্রদর্শন করে। অনেক উদ্ভিদেই দুই লিঙ্গ একই উদ্ভিদে (হারমোফ্রোডাইট) থাকে, আবার অনেক উদ্ভিদে লিঙ্গ পৃথক থাকে।
সারসংক্ষেপে, পুরুষ জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা প্রজনন এবং জীবনের অবিরততা নিশ্চিত করে। এর ভূমিকা প্রাণীজগত এবং উদ্ভিদজগত উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।