মো: ফরিদ আহমদ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:০৬ পিএম
নামান্তরে:
মো ফরিদ আহমদ
মো: ফরিদ আহমদ

মোঃ ফরিদ আহমদ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখায় আমরা দুজন মোঃ ফরিদ আহমদের জীবনী তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

প্রথম ফরিদ আহমদ:

মৌলভী ফরিদ আহমদ (৩ জানুয়ারি ১৯২৩ - ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য, গণপরিষদের সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চীফ হুইপ এবং কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ৩ জানুয়ারি ১৯২৩ সালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগরের মাছুয়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৬-১৯৪৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। ১৯৫২ সালে নেজামে ইসলাম পার্টিতে যোগদান করে ১৯৫৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়ের মন্ত্রিসভায় ১৯৫৭ সালে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সম্মিলিত বিরোধী দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ১৯৬৭ সালে আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের গোলটেবিল বৈঠকে নেজামে ইসলাম পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন। তিনি ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি দৈনিক নাজাত পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও মাসিক পৃথিবীর উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে অখন্ড পাকিস্তানের বিশ্বাসী হলেও পূর্ব পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ মে ১৯৭১ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান সফর করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে লালবাগ থানায় আত্মসমর্পণ করেন এবং ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের পিছনে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

দ্বিতীয় ফরিদ আহমদ:

ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ড. মো. ফরিদ আহমদ ৫৮ বছর বয়সে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে মারা যান। তিনি লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন এবং কয়েক দিন আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি বাংলাদেশের নদ-নদী, ভাওয়ালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গাজীপুরের ভৌগলিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সহ বেশ কিছু গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ভাওয়াল একাডেমি, গাজীপুর সাহিত্য পরিষদ, গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদ প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করে। আরও একজন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ (মদন মোহন কলেজ) ছিলেন যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এক যুগ চাকরি থেকে অপসারিত হন। এক যুগ পর তিনি পুনরায় চাকুরিতে যোগ দেন।

উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও আরও তথ্য জানা গেলে আমরা লেখাটি সম্পূর্ণ করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • মৌলভী ফরিদ আহমদ (১৯২৩-১৯৭১): পাকিস্তান আমলে রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী ছিলেন।
  • ড. মোঃ ফরিদ আহমদ: ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষক ছিলেন।
  • অন্যান্য ফরিদ আহমদ: মদন মোহন কলেজের অধ্যাপক যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় চাকুরিচ্যুত হন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো ফরিদ আহমদ

মো: ফরিদ আহমদ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোট সিলেটের সমন্বয়ক এবং দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন।