মোঃ আব্দুল হালিম: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য উল্লেখ
প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, "মোঃ আব্দুল হালিম" নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। স্পষ্টতার জন্য, আমরা তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব।
১. মোঃ আব্দুল হালিম (ফুটবলার): এই আব্দুল হালিম একজন বাংলাদেশী প্রাক্তন ফুটবলার। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন। তিনি ১৯৮০ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের সময় তিনটি গোল করে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো মূল টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করেন। তার ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় রহমতগঞ্জ এমএফএস-এর সাথে কাটিয়েছেন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা লিগে পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে যৌথ-সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। হাঁটুর ইনজুরির কারণে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়। ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী হালিমের দুই ছেলে রয়েছে, যারা সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিলেন। পেশাদার ফুটবল খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কিছুদিন কোচিং করেছেন। ২০২২ সালে তিনি হৃদরোগে ভোগার কথা জানিয়েছিলেন। তার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর মারা যান।
২. মোঃ আব্দুল হালিম (বীর মুক্তিযোদ্ধা): এই আব্দুল হালিম ১৯৩৩ সালের ৩০ জুন জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে দিনাজপুর ইপিআর হেডকোয়ার্টারে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়েছে। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়।
৩. মোঃ আব্দুল হালিম খান (নির্বাচন কর্মকর্তা): এই আব্দুল হালিম খান সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন এবং পরবর্তীতে এনআইডির পরিচালক (অপারেশনস) হিসেবে বদলি হন।
৪. মোঃ আব্দুল হালিম (টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক): এই আব্দুল হালিম গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের একজন পরিচালক, যিনি শ্রমিক আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
৫. মোঃ আব্দুল হালিম (শিক্ষক): পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একজন শিক্ষক, যিনি দুর্বৃত্তদের হাতে পিটিয়ে আহত হন।
উপরোক্ত তথ্যগুলো ব্যতীত, যদি আরো কোন তথ্য উপলব্ধ হয়, তাহলে আমরা পরবর্তীতে আপনাকে অবহিত করব।