ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা: ময়মনসিংহ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা, যা ১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পূর্ব নাম ছিল পিতলগঞ্জ। ঐতিহাসিক খেয়ামাঝি ঈশ্বরপাটনীর নামানুসারে এর নামকরণ হয় ঈশ্বরগঞ্জ। ব্রিটিশ আমলে নীলকৃষকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঈশ্বরপাটনীর প্রতিবাদ এবং তাঁর শাহাদাতের কাহিনী ঈশ্বরগঞ্জের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও ঈশ্বরগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপজেলার আয়তন ২৮৬.১৯ বর্গ কিলোমিটার এবং এখানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন ঈশ্বরগঞ্জের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ধান, মাছ, পাট, আলু, বেগুন, শশা, মরিচ, কপি ইত্যাদি এখানকার প্রধান ফসল। ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার লোকশিল্প, যেমন তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও কাঠের কাজ প্রসিদ্ধ। ঈশ্বরগঞ্জের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, কাঁচামাটিয়া, মঘা ও সোয়াইন নদী এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও সমৃদ্ধ করে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, কাঁচামাটিয়া নদী, মঘা নদী এবং সোয়াইন নদী এই উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদী। এছাড়াও থানা, চৌকি আদালত, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর শাখা ঈশ্বরগঞ্জের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর অংশ। ঈশ্বরগঞ্জের মানুষ প্রধানত ইসলাম ধর্মাবলম্বী, হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মের মানুষও এখানে বসবাস করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ঘোষণা
- ঈশ্বরপাটনীর নামানুসারে উপজেলার নামকরণ
- মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
- কৃষি ও মৎস্যচাষ অর্থনীতির ভিত্তি
- ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের সমৃদ্ধি