মাষ্টার মনোহর আলী: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, "মাষ্টার মনোহর আলী" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। তাই, বিভ্রান্তি এড়াতে আমরা তাদের পৃথকভাবে আলোচনা করবো।
১. জমিদার মনোহর আলী খান:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির সাথে সম্পৃক্ত একজন জমিদার ছিলেন মনোহর আলী খান। তার পূর্বপুরুষরা ১৬৬৫ সালে এখানে আসেন বলে জানা যায়। কেউ কেউ বলেন তারা রাজা শ্যামরায়ের বংশধর এবং মূলত শায়েস্তা খানের বংশধর। শায়েস্তা খান তার জমিদারির একটা অংশ মনোহর আলী খানকে দান করেছিলেন বলে ঐতিহ্যবাহী কথা প্রচলিত। ১৯৫৪ সালের দিকে জমিদারি প্রথা বন্ধ হওয়ার পর তাদের জমিদারির অবসান ঘটে। মিয়াবাড়ি নামে পরিচিত এই জমিদার বাড়িটি বর্তমানে অযত্ন অবহেলায় ধ্বংসের পথে।
২. অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোহর আলী:
চাঁদপুরের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোহর আলী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেন। চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ হয়। তিনি ৭২ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি টিআইবি’র সহযোগী সংগঠন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) চাঁদপুর জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও দু'দফা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৩. মাষ্টার মোহর আলী গাজী:
কালিগঞ্জ উপজেলার একজন শিক্ষক ছিলেন মাষ্টার মোহর আলী গাজী। তিনি মুকুন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য ছিলেন। ৯০ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তিই বিভিন্ন ক্ষেত্রে "মাষ্টার মনোহর আলী" নামের সাথে সম্পৃক্ত হলেও, তাদের পেশা, বাসস্থান এবং জীবনী বিস্তারিত বিভিন্ন। তাই, নামের সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করলেই সঠিক ব্যক্তি চিহ্নিত করা সম্ভব।