বাংলাদেশে মাদ্রাসাছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। কখনও তারা অপরাধের শিকার হয়েছে, কখনও আবার অপরাধে জড়িত হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্রীদের অধিকাংশই নিরীহ ও দুর্বল, যারা সহজেই শোষণের শিকার হতে পারে। তাই তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি, মাদারীপুরের রাজৈরে এক মাদ্রাসাছাত্রী শিশুর (১১) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে। এই ঘটনার পর, মাদ্রাসাছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে জনসাধারণের মনে উদ্বেগ বেড়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছে। শিশুটির বাবা ডিম বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
অন্যদিকে, বরগুনায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায়ও অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। এই দুটি ঘটনা ছাড়াও, আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা মাদ্রাসাছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও মাদ্রাসাছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতার শিকার।
মাদ্রাসাছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও, মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশুদের যৌন নির্যাতন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। শুধুমাত্র সরকার ও পুলিশ নয়, সমাজের সকলেরই এ বিষয়ে সচেতন থাকা ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত।