মফিজুর রহমান

মফিজুর রহমান: বাংলাদেশের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা

মফিজুর রহমান (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২০০৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার অদম্য সাহস ও বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নেয়ামতউল্লা ফরাজী এবং মাতার নাম রাহাতুন নেছা। তার স্ত্রীর নাম ফজিলতের নেছা এবং তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল।

মফিজুর রহমান ইপিআরে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। ২৫শে মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের সময় তিনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু অল্প সংখ্যক সদস্য নিয়ে প্রতিরোধ ব্যর্থ হয়। তিনি কিছু সহযোদ্ধাদের সাথে পিলখানা থেকে পালিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে আশ্রয় নেন এবং পরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় যান। তিনি ৩ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালের ১৩-১৪ এপ্রিল ভৈরব-নরসিংদীর মাঝে রামনগর রেলসেতুর কাছে তিনি এবং তার দল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে এক সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তীব্র যুদ্ধের পর দিনরাত গোলাগুলি চলে, পরে বিমান হামলা ও হেলিকপ্টার থেকে নামা কমান্ডোদের আক্রমণের মুখোমুখি হন তারা। সীমিত অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্যের অভাবে তারা পশ্চাদপসরণ করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যান। এই যুদ্ধে মফিজুর রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও বীরত্ব বিস্ময়কর ছিল। সুলতান আহমেদ (বীর বিক্রম), আব্দুল মালেক এবং মতিউর রহমান (বীর প্রতীক) সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিনি অবিচল সাহসের সাথে যুদ্ধ করেছেন। মফিজুর রহমানের বীরত্বপূর্ণ জীবন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মফিজুর রহমান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • তিনি বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন।
  • তিনি ফেনী জেলার নোয়াদ্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি ইপিআরে কর্মরত ছিলেন।
  • ভৈরব-নরসিংদীর রামনগর রেলসেতুর যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

গণমাধ্যমে - মফিজুর রহমান

মফিজুর রহমান ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় আটক হন।

মফিজুর রহমান জানিয়েছেন দাবি আদায় না হলে ৪ জানুয়ারী সমাবেশের পরিকল্পনা আছে।

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মফিজুর রহমান আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে কলমবিরতি কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য ক্যাডার বিলুপ্তির সুপারিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

মফিজুর রহমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।