আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রতিবাদে ২৫টি ক্যাডারের যৌথ আন্দোলন

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন খসড়া সুপারিশের বিরুদ্ধে প্রশাসন ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। উপ-সচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০% মেধাভিত্তিক নিয়োগের সুপারিশ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।

২১ ডিসেম্বর, ঢাকার সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ২৫টি ক্যাডারের সভাপতি-সেক্রেটারি ও সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: ২৩ ডিসেম্বর প্রতিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বিবৃতি প্রদান, ২৪ ডিসেম্বর এক ঘন্টা কলমবিরতি, ২৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন এবং ৪ জানুয়ারি ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশ। সভায় কমিশনের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক ও মেধাবিরোধী আখ্যায়িত করা হয় এবং ‘সার্ভিস অ্যাক্ট, ১৯৭৫’ এর পরিপন্থী বলে অভিহিত করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের একচ্ছত্র আধিপত্যের ফলে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগও উত্থাপিত হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের প্রতিও তীব্র আপত্তি জানানো হয়। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কোটা বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জোরদার করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতায় ২৫ ক্যাডারের যৌথ আন্দোলন
  • উপ-সচিব পদে ৫০% কোটা বাতিলের দাবি
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার বিরোধিতা
  • কলমবিরতি, মানবন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচী

গণমাধ্যমে - আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ

২০২৪-১২-২১

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।