বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অ্যালামনাই, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক সমষ্টি, যারা বিভিন্ন পেশা, প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বুয়েট অ্যালামনাই শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, বরং এটি এক বৃহৎ সম্প্রদায় যারা তাদের সাধারণ শিক্ষাগত পটভূমি এবং বুয়েটের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের মাধ্যমে জুড়ে আছে। এই নিবন্ধে বুয়েট অ্যালামনাই সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।
বুয়েট অ্যালামনাইয়ের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:
- স্নাতকদের সম্মাননা: বুয়েট অ্যালামনাই নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ব্যাচের স্নাতকদের সম্মাননা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালের স্নাতকদের ৫০ বছর এবং ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালের স্নাতকদের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ৯৭ জন ও ১৫৫ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
- বুয়েটের উন্নয়নে অবদান: বুয়েট অ্যালামনাই বুয়েটের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তারা শিক্ষার মান বৃদ্ধি, গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে।
- জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা: বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর ইত্যাদি বৃহৎ প্রকল্পগুলিতে তাদের অবদান অপরিসীম।
- বিভিন্ন দেশে অবস্থান: বুয়েট অ্যালামনাই বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত এবং তারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাগত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও পার্থে বসবাসরত বুয়েট অ্যালামনাই নিয়মিতভাবে পুনর্মিলনী এবং অন্যান্য কার্যক্রমের আয়োজন করে।
বুয়েট অ্যালামনাইয়ের উদ্দেশ্য:
বুয়েট অ্যালামনাইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাদের সদস্যদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, বুয়েটের উন্নয়নে অবদান রাখা এবং দেশের অগ্রগতিতে সহায়তা করা।
বুয়েট অ্যালামনাই সংগঠন:
বুয়েট অ্যালামনাই একটি গঠনতন্ত্র ভিত্তিক সংগঠন, যার একটি নির্বাচিত কমিটি দ্বারা নেতৃত্ব প্রদান করা হয়। এই কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সংগঠনের কার্যকলাপ পরিচালনা করে।
বুয়েট অ্যালামনাই একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়, যা বুয়েটের গৌরব ও সুনাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অবদান দেশের অগ্রগতির জন্য অপরিসীম।