বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বর্তমানে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সাল চরম সংকটময় ছিল, বৈশ্বিক মন্দা, ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, অর্থপাচার এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা এর প্রধান কারণ। বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২৫ সালে স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। গত বছর বেশিরভাগ সময় বাজার পতনমুখী ছিল, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কিছুদিন উত্থান দেখা গেলেও, পরে আবার পতন শুরু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। ২৮ অক্টোবর ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজার ৮৯৮.৫২ পয়েন্টে নেমে আসে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, আগামী দিনগুলিতে স্বচ্ছ ও প্রকৃত বিনিয়োগকারীভিত্তিক বাজার গঠন গুরুত্বপূর্ণ। ভালোমানের কোম্পানির আইপিও এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাজারের গতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক সুদের হার কমানো এবং বাজারে আটকে থাকা পুঁজি মুক্ত করা প্রয়োজন। ২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে বাজারের উত্থান-পতন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট চলছে। বিভিন্ন সময় কারসাজি এবং অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাব এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতার অভাবও বাজারের দুর্বলতার কারণ। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের সুস্পষ্ট উদ্যোগ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৪ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্য চরম সংকটময় বছর।
- বৈশ্বিক মন্দা, ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাজারের পতনের প্রধান কারণ।
- বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই ২০২৫ সালের বৃহৎ চ্যালেঞ্জ।
- প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বাজারে স্বচ্ছতা অপরিহার্য।
- সরকারের সুস্পষ্ট উদ্যোগ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - বাংলাদেশের পুঁজিবাজার
২০২৪
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠান:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)বাংলাদেশ ব্যাংকজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)পেট্রোবাংলাবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিবেক্সিমকো লিমিটেডগ্রামীণফোন