ইসরায়েলি অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে বন্দীদের ওপর চরম নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইসরায়েলি বন্দিশালায় আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ৩৭ বছর বয়সী মোয়াযায ওবাইয়াত নামের একজন ফিলিস্তিনি বন্দী, যিনি একসময় বডিবিল্ডার ছিলেন, ৯ মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তির তিন মাস পর আবারও তাকে আটক করা হয়। চিকিৎসকের রিপোর্টে তার পিটিএসডি এবং কারাগারে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের উপসর্গ ধরা পড়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের সময় ও আগে আটক হওয়া হাজারও ফিলিস্তিনির মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চেষ্টা চলছে।
ফিলিস্তিনি বন্দী বিষয়ক পরিষদের প্রধান ও পশ্চিম তীরের সরকারি কর্মকর্তা কাদৌরা ফারেস বলেছেন, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারাতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনেও ইসরায়েলি বন্দিশালায় বন্দীদের ওপর মারধর, যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা কয়েকজন বন্দী গাজাবাসীর ওপর চলা নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে।
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও তথ্য উঠে আসছে। ৪৫ বছর বয়সী খাদের আদনান নামের একজন ফিলিস্তিনি বন্দী ৮৬ দিনের অনশনের পর মারা গেছেন। এছাড়াও ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের বহু ঘটনা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক জিম্মি বিনিময়ের সময়ও ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তবে এসব ঘটনার পেছনে নির্দিষ্ট সংখ্যা এবং বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা এ নিয়ে আরও বিস্তৃত লেখা প্রকাশ করতে পারব।