ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF), যা তসাহাল (צה"ל) নামেও পরিচিত, ইসরায়েলের জাতীয় সামরিক বাহিনী। ১৯৪৮ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী দাভিদ বেন-গুয়েরিয়নের নির্দেশে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই হাগানাহ, ইরগুন ও লেহি-র মতো বিদ্যমান আধা-সামরিক বাহিনী থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়ে এটি গঠিত হয়। আইডিএফ তিনটি প্রধান শাখায় বিভক্ত: ইসরায়েলি স্থলবাহিনী, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনী।
IDF ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একমাত্র সামরিক শাখা। চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ এর নেতৃত্বে এটি পরিচালিত হয়, যিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অধীনস্থ। বর্তমান চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ হলেন হারজি হালেভি (১৬ জানুয়ারী ২০২৩ থেকে)। IDF ইসরায়েলের সাথে জড়িত প্রতিটি সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ করেছে। প্রাথমিকভাবে লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং মিশরের বিরুদ্ধে কাজ করলেও, ১৯৭৯ সালের মিশর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের ইসরায়েল-জর্ডান শান্তি চুক্তির পর, IDF এর ফোকাস দক্ষিণ লেবানন এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।
IDF নারী সেনাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনন্য। এটি ইসরায়েলি সমাজের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান এবং ইসরায়েলের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। IDF আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন মার্কভা ট্যাঙ্ক, আয়রন ডোম মিসাইল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ইত্যাদি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে IDF ১৯৬৭ সাল থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বজায় রেখেছে বলে ধারণা করা হয়।
IDF এর কর্মকাণ্ড এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নীতি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও রয়েছে। এই লেখাটি IDF এর ইতিহাস, কাঠামো, অস্ত্রশস্ত্র, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে চেষ্টা করেছে। তবে, এর বিশদ বিশ্লেষণ এবং সমালোচনার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।