পাঠ্যবই

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের পাঠ্যবই: একটি বিস্তারিত আলোচনা

পাঠ্যবই শিক্ষার অন্যতম মূল উপাদান। এটি শুধুমাত্র তথ্যের ভাণ্ডার নয়, বরং জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়, চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটায় এবং নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে সহায়তা করে। বাংলাদেশে পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস, বিতরণ ব্যবস্থা, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত:

প্রাচীন গ্রীসে শিক্ষামূলক পাঠ্য রচনার প্রচলন ছিল। মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের পর পাঠ্যবইয়ের ব্যাপক উৎপাদন শুরু হয়। ১৫ শতকে জোহানেস গুটেনবার্গের মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার পাঠ্যবইয়ের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমলে পাঠ্যবইয়ের প্রচলন শুরু হয় এবং স্বাধীনতার পর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর উদ্যোগে এটি ব্যাপকভাবে উন্নত ও বৈচিত্র্যময় হয়।

এনসিটিবি'র ভূমিকা:

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাংলাদেশে পাঠ্যবইয়ের উন্নয়ন, মুদ্রণ এবং বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত। এনসিটিবি প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শ্রেণির জন্য পাঠ্যবই প্রণয়ন ও বিনামূল্যে বিতরণ করে। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাঠ্যবই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

বিতরণ ব্যবস্থা:

এনসিটিবি'র উদ্যোগে প্রতিবছর জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। বইয়ের চাহিদা মেটাতে এনসিটিবি ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং বই ছাপানোর জন্য বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসের সহযোগিতা নেয়। সম্প্রতি, ডিজিটাল পাঠ্যবইয়ের ব্যবহারও বাড়ছে।

বর্তমান চ্যালেঞ্জ:

পাঠ্যবইয়ের বাজারে উচ্চ মূল্য, প্রকাশকদের সংখ্যা কমে যাওয়া, নতুন সংস্করণ বের হওয়া, এবং বইয়ের গুণগত মান নিয়ে সমালোচনা করা হয়। ই-বই, ওপেন টেক্সটবুক এবং ঐতিহ্যবাহী পাঠ্যবই ব্যবহারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

এনসিটিবি পাঠ্যবইয়ের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল পাঠ্যবইয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের পরিকল্পনা তৈরি করার কাজ চলছে। এছাড়া, ওপেন সোর্স পাঠ্যবইয়ের ব্যবহার বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার:

বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থা দেখলে বোঝা যায় যে এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মৌলিক উপাদান। এনসিটিবি'র ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠ্যবইয়ের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ের উন্নয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত।
  • এনসিটিবি প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শ্রেণির জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে।
  • পাঠ্যবইয়ের উচ্চ মূল্য, প্রকাশক সংখ্যা কমে যাওয়া এবং গুণগত মান নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
  • এনসিটিবি ডিজিটাল পাঠ্যবইয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ওপেন সোর্স পাঠ্যবইয়ের ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পাঠ্যবই

সপ্তম শ্রেণীর ইংরেজি পাঠ্যবই থেকে সাকিব আল হাসান ও কাজী সালাউদ্দিনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

নবম-দশম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এনসিটিবি প্রণীত পাঠ্যবইতে ভুল তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

পাঠ্যবই সরবরাহের বিষয়টি শিক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৭ জানুয়ারী ২০২৫

শিক্ষার্থীরা চলতি শিক্ষাবর্ষে কবে নাগাদ পাঠ্যবই পাবে তা নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের মন্তব্য।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ উন্মোচন করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারী ২০২৫

চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই ছাপার কাজে দেরি হচ্ছে।

পাঠ্যবই ছাপার কাজে দেরী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাবর্ষে বই পেতে দেরি হবে।

এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি পরিমার্জিত পাঠ্যবই প্রকাশ করেছে।

জানুয়ারী ১, ২০২৫

এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে ৪৪১টি পরিমার্জিত পাঠ্যবই আপলোড করেছে।

বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্বের ঘটনায়

৪ জানুয়ারী ২০২৫

নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

জানুয়ারি ৭, ২০২৫

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপা এবং বিতরণের অগ্রগতি নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।