নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৪১ পিএম

২০০১ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক সহিংসতার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। এই সহিংসতায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। নির্বাচনে বিরোধী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে। এই পরাজয়ের পর বিএনপি সমর্থিত গোষ্ঠী কর্তৃক হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা, লুটপাট এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলাদেশে এই ঘটনা বেশি সংঘটিত হয়, যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য। ২০০১ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভোলা জেলায় বেশ কয়েকটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে, যেখানে ২০০ এরও বেশি নারী ধর্ষিত হন। এছাড়াও বাগেরহাট, বরিশাল, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, ফেনী, গাজীপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, এবং টাঙ্গাইল জেলায় হিন্দুদের টার্গেট করা হয়। সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অপ্রতুলতা ও সরকারের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা এই সহিংসতার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করে। ২০০৯ সালে, বাংলাদেশ হাইকোর্ট নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১১ সালে, তদন্ত প্রতিবেদনে ২৫ হাজার লোকের দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে টার্গেটেড সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২৫ জন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণও প্রতিবেদনে পাওয়া যায়। বিচার বিভাগীয় কমিশন ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি বলে উল্লেখ করে। বিএনপি এই তদন্তকে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করে। ২০১১ সালে, সিরাজগঞ্জ জেলার একটি আদালত ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পূর্ণিমা রানী শীলকে ধর্ষণের দায়ে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এই ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ, আরও অনেক ঘটনা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলির পরেও, বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের আন্তর্দলীয় সংঘর্ষের ফলে নতুন করে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এই সহিংসতায় অনেক মানুষ আহত ও নিহত হচ্ছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০১ সালের নির্বাচনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক সহিংসতা।
  • ভোলায় ২০০ এর বেশি নারী গণধর্ষণের শিকার।
  • দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে সহিংসতা বেশি ঘটে।
  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অপ্রতুলতা ও সরকারের ব্যর্থতা।
  • ২০০৯ সালে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়।
  • ২০১১ সালে প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে ১৮ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনার কথা উঠে আসে।
  • বিএনপি তদন্তকে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করে।
  • সম্প্রতিও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

১২/২৮/২০২৪

মোজাম্বিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৫১ জন নিহত হয়েছে।