দৌলতপুর উপজেলা নিয়ে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ লিখতে গেলে, আমাদের দুটি দৌলতপুর উপজেলার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। বাংলাদেশে দুটি উপজেলা দৌলতপুর নামে পরিচিত। একটি কুষ্টিয়া জেলায় এবং অন্যটি মানিকগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। নিচে দুটি উপজেলার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো:
দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া জেলা):
এই উপজেলাটি ৪৬৮.৭৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এবং ২৩°৫২´ থেকে ২৪°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪২´ থেকে ৮৮°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। উত্তরে বাঘা ও লালপুর, দক্ষিণে গাংনী ও মিরপুর, পূর্বে ভেড়ামারা ও মিরপুর, এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ৪৫৬,৩৭২; পুরুষ ২২৭,৭১১, মহিলা ২২৮,৬৬১। গঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা নদী এবং কালুয়া বিল, পঙ্খীর বিল, বোয়ালিয়া বিল ও ফকিরধরা বিল উল্লেখযোগ্য জলাশয়। ১৮৫৪ সালে দৌলতপুর থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লড়াই এখানে হয়েছিল। হোসেনাবাদ রাজবাড়ী, মহিষাকুন্ডি নীলকুঠি, রেফায়েতপুর জমিদার বাড়ি এখানকার উল্লেখযোগ্য প্রত্নসম্পদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য।
দৌলতপুর উপজেলা (মানিকগঞ্জ জেলা):
এই উপজেলার আয়তন ২১৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। অবস্থান ২৩°৫৪´ থেকে ২৪°০২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪১´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে চৌহালি ও নাগরপুর, দক্ষিণে শিবালয় ও ঘিওর, পূর্বে সাটুরিয়া, এবং পশ্চিমে বেড়া ও যমুনা নদী সীমান্তবর্তী। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৬৭,০২৬; পুরুষ ৮০,৪৮৯, মহিলা ৮৬,৫৩৭। যমুনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদী উল্লেখযোগ্য। ১৯১৯ সালে থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে এখানেও গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
উপরোক্ত তথ্য দুটি দৌলতপুর উপজেলার একটি সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ। আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।